December 24, 2024, 6:03 pm

তাওহিদের কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’পাঠের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : Tuesday, September 8, 2020,
  • 137 Time View

কালেমা অর্থ হলো ঈমান বা বিশ্বাস। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কালেমা হলো ঈমানের মূল ভিত্তি। আল্লাহ তায়ালাকে একমাত্র উপাস্য মেনে ইবাদত-বন্দেগি কিংবা দান-সাদকা না করলে, ওইসব আমল ও দান-সাদকা পরকালে কোনো কাজে আসবে না।

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হলো ঈমানের চাবি। এই কালিমা পাঠ করলে ঈমান মজবুত হয়। যে ব্যক্তি কালেমা পাঠ করে মৃত্যুবরণ করবে, ওই ব্যক্তি জান্নাতি হবে।

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩৬/২২১০২)।

হজরত ওসমান রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম : ১/২৬)।

মুমিন বান্দার কাছে কালেমার জিকির সর্বত্তোম জিকির। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকিরে মুমিন বান্দার অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। যে ব্যক্তি বেশি বেশি কালেমার জিকির করবে ওই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা পরকালে জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দেবেন এবং আকাশের সব রহমতের দরজা খুলে দেবেন।

হজরত উবাদা ইবনে সামিত রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূল সা:কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল। তার জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (মুসলিম : ১/২৯)।

হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো বান্দা যদি ইখলাসের সাথে কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে, তবে তার জন্য আকাশের দরোজাগুলো খুলে দেয়া হয়। (তিরমিজি : ৬৮)

আমাদের অসুস্থ কিংবা মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কালেমা পড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। মৃত্যুর সময় কালেমা পড়া নসিব না হলে বেঈমান হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আর বেঈমান ব্যক্তি নিশ্চিত জাহান্নামি।

হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের কালেমার তালকিন করো।’ (মুসলিম : ১/৩০০)

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তির শেষ কথা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে সে জান্নাতে যাবে।’ (আবু দাউদ : ২/৪৪৪)

দুনিয়ার সব পেরেশানি থেকে মুক্তি এবং পরকালের চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখ শান্তি লাভের জন্য বেশি বেশি কালেমা পাঠ করা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71